রাজশাহীতে ৫ জঙ্গিসহ নিহত ৬
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে একই পরিবারের বাবা-মা ও তাদের তিন সন্তানসহ একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আস্তানায় চার জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও পরে জানানো হয় নিহত জঙ্গির সংখ্যা পাঁচ। তারা হলেন- বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী বেলী বেগম (৪৫), তাদের ছেলে সোয়াইদ (২৫), আল আমিন (২০) ও মেয়ে কারিমা খাতুন (১৭)। আর নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীর নাম আব্দুল মতিন (২৯)।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আরও আহত হন গোদাগাড়ী থানার সহকারী উপপরিদর্শক উৎপল (৩৫) ও পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম (৪০)। তারা বর্তমানে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জঙ্গি আস্তানা থেকে বেরিয়ে সাজ্জাদ হোসেনের বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২৭) আত্মসমর্পণ করেছেন। এর আগে বাড়ি থেকে সুমাইয়ার আট বছরের ছেলে জুবায়ের হোসেন ও তিন মাসের মেয়ে আফিয়া খাতুনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বেলা ১১টার পর সুমাইয়া ও তার সন্তানদের পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐ গাড়িতে প্রায় ২৫ বছরের এক যুবককেও দেখা গেছে। তিনি সুমাইয়ার দেবর মিনারুল ইসলাম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মিনারুল স্থানীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
সুমাইয়ার শ্বশুর বাড়ি পদ্মার চরাঞ্চলে বলে জানা গেছে। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে কয়েক মাস আগে তার স্বামী জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জহুরুল এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি।
এদিকে জঙ্গি আস্তানার আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকায় বর্তমানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে পুলিশের উপস্থিতিতে পানি ছিটাচ্ছিলেন দমকল কর্মীরা। এসময় জঙ্গিরা বেরিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সেখানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই